1. mizanurrahmanmim004@gmail.com : admin :
অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইদের মৃত্যু - banglarjoy71
June 23, 2025, 6:57 am
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘banglarjoy71.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘banglarjoy71.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘banglarjoy71.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ
শিরোনামঃ
ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতার মদ সেবনের ছবি ভাইরাল সেতুর অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের এ দুর্ভোগ শিবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির শীর্ষক সেমিনার মানবতার সেবায় রহনপুর এর উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ ঠেলে পাঠানো ২০ জন। গোমস্তাপুর স্মার্ট প্রেস ক্লাব এর অর্থ সম্পাদকের আম্মার মৃত্যুতে সভাপতি ও সম্পাদকের শোক প্রকাশ নওগাঁয় তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন রহনপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান সোহরাবের ঈদ পরবর্তী সময় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা রহনপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান সোহরাবের ঈদ পরবর্তী সময় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা

অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাইদের মৃত্যু

  • Update Time : Wednesday, February 19, 2025
  • 74 Time View

 

মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু
বিশেষ প্রতিনিধি,নওগাঁ।

বদলগাছী ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকা সত্ত্বেও, পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পাওয়ায় সিনিয়র সাংবাদিক এবং বদলগাছী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: আবু সাইদ(৪৭) হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। সম্পূর্ণ ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানান, মরহুম আবু সাইদ পুত্র মো: সিজান সিদ্দিকী এবং বদলগাছী উপজেলার ডাঙ্গীসাড়া নিবাসী মেহেদি হাসান নামক এক যুবক।

মরহুম আবু সাইদ পুত্র সিজান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি ঘটে ডিসেম্বর মাসের আঠারো তারিখে। আমি শোকাহত থাকায় আপনাদের কিছু জানাতে পারি নি। তিনি বলেন, আমার আব্বু হঠাৎ করেই মোটরসাইকেল চালানোকালীন বিকেল সাড়ে তিনটায় অসুস্থ হয়ে ঘামতে শুরু করেন এবং হাত পা ছেড়ে দিতে থাকেন। সেদিন বাড়িতে আমার মা এবং বড় ভাই ছিলেন না। আমি তখন কোনমতে দুইজন পথচারীর সাহায্য নিয়ে আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার মধ্যে একজন মেহেদি হাসান ছিলেন এবং তিনি প্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন। আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আব্বুর নাকে অক্সিজেন পাইপ দিয়ে আমাকে তিনটি ইনজেকশন নিয়ে আসতে বলেন। আমি সেগুলো নিয়ে আসি। তখনও আব্বু কথা বলছিলেন। আমি আতঙ্কিত এবং ভয় পাওয়ায় হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মামুন নামক এক লোক, স্মৃতি নামক একজন মহিলা এবং দুইজন নার্স ছিলেন। তাদের মধ্যে কেউই ডাক্তার ছিলেন না। তারা নাকি আমি যখন ইনজেকশন নিতে গিয়েছিলাম তখন আব্বুর জিহ্বার নিচে একটি ঔষধ দেয়। তারপর আমি উপস্থিত থাকাকালীন তারা কয়েকটি ঔষধ খুলে আমার হাতে দেয় এবং বলে আব্বু যেন সেই ঔষধ চিবিয়ে খান। আমি তখন বলি সব ঔষধ ঠিকঠাক আছে কি। তারা কিছুক্ষণপর উত্তর দেন ‘হ্যাঁ ঠিক আছে’। তখন আব্বু সেই দায়িত্বে থাকা স্মৃতি নামক মহিলাকে বলেন, ম্যাডাম এই হাসপাতালেই ঔষধ ভুল হওয়ায় আমার বাবা মারা গিয়েছেন। সে বিষয়ে আমি আগে থেকে অবগত ছিলাম তাই তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তাদের কথায় এবং আব্বুর অবস্থা খারাপ হওয়া দেখে পরে ঔষধ খাওয়ানো হয়। তারপর আব্বুর বলেন তার মুখ নাকি শুকিয়ে আসতিছে। তারপর মামুন নামের লোকটি আব্বুকে পানি খাওয়ান এবং বলেন দোয়া-কালেমা পরতে থাকেন। তারপর তারা বলেন এখানে আর হবে না, নওগাঁ নিয়ে যেতে হবে। আমি তখন একটি পরিচিত মাইক্রোবাসকে কল দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালে দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা বলেন, এ গাড়িতে নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। এখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। আব্বুর তখন একটু একটু কথা বলছিলেন। আব্বু, আমি এবং সেখানে উপস্থিত থাকা লোকজন অনেকবার অনুরোধ করি জরুরী বিভাগের অক্সিজেনটি দিতে। কিন্ত তারা বলেন সেটি নাকি সরাসরি সংযুক্ত খোলা যায় না। ঐটা দেওয়া যাবে না। তারপর আমার ডাকা গাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তারপরে তারা হাসপাতালের আম্বুলেন্সকে কল দেন এবং আমায় বলেন সেখানে নাকি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংযুক্ত আছে । তারপর সেই আম্বুলেন্স ড্রাইভার দ্রুত আসার কথা বলে আঁধা ঘন্টা সময় লাগান। আব্বুর অবস্থা তখন অনেকটা খারাপ। কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তারপর আম্বুলেন্স হাসপাতালে আসলে আব্বুকে তোলার সময় নাক থেকে অক্সিজেন পাইপ সরানো হয়, তখন আব্বু জোরে-জোরে নিশ্বাস নিতে থাকেন। সেই সময় মামুন নামের লোকটি, দৌড়ে গিয়ে সেই জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডার খুলে নিয়ে এসে আম্বুলেন্সে সেট করেন। তারপর নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আব্বুকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিজান সিদ্দিকী আরও বলেন, বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যদি সময় মতো অক্সিজেন সিলিন্ডার আমাদের দেওয়া হতো, তাহলে আরও আগে আমার ডাকা গাড়িতে আব্বুকে নওগাঁ নিয়ে গিয়ে বাঁচানো সম্ভব হতো।
সেইসময় উপস্থিত মেহেদি হাসান সিজান সিদ্দিকীর প্রতিটি কথায় সহমত পোষণ করেন।

উপজেলাবাসী সংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক সাইদ দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় আছেন। এবং বদলগাছী অনেক উন্নয়ন তার লেখাতেই হয়েছে। তার মতো এত সম্মানিত, পরোপকারী, সৎ ব্যক্তিই যদি সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান। তাহলে আমাদের কি হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 20122 Breaking News
Design & Developed By BD IT HOST