1. mizanurrahmanmim004@gmail.com : admin :
বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী খড় ছনের তৈরী কুঁড়ে ঘর - banglarjoy71
June 23, 2025, 6:53 am
নোটিশঃ
যে কোন বিভাগে প্রতি জেলা, থানা/উপজেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘banglarjoy71.com ’ জাতীয় পত্রিকায় সাংবাদিক নিয়োগ ২০২৩ চলছে। বিগত ১ বছর ধরে ‘banglarjoy71.com’ অনলাইন সংস্করণ পাঠক সমাজে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পাঠকের সংখ্যায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছে তরুণ, অভিজ্ঞ ও আন্তরিক সংবাদকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘banglarjoy71.com‘ পত্রিকায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার এ ধাপ
শিরোনামঃ
ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতার মদ সেবনের ছবি ভাইরাল সেতুর অভাবে ৫০ গ্রামের মানুষের এ দুর্ভোগ শিবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির শীর্ষক সেমিনার মানবতার সেবায় রহনপুর এর উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ ঠেলে পাঠানো ২০ জন। গোমস্তাপুর স্মার্ট প্রেস ক্লাব এর অর্থ সম্পাদকের আম্মার মৃত্যুতে সভাপতি ও সম্পাদকের শোক প্রকাশ নওগাঁয় তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন রহনপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান সোহরাবের ঈদ পরবর্তী সময় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা রহনপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান সোহরাবের ঈদ পরবর্তী সময় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা

বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী খড় ছনের তৈরী কুঁড়ে ঘর

  • Update Time : Thursday, October 3, 2024
  • 148 Time View

ইমন মিয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাইবান্ধায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খড়-কুটো ছনের ছাঊনি দিয়ে তৈরি করা ঘর এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময়ে গাইবান্ধাজেলাতে চর এলাকা গুলোতে বসবাসের প্রধান ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো কুঁড়ে ঘর। গ্রামের সাধারণ নিম্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ শ্রেণির মানুষেরাও ব্যবহার করতেন খড়-কুটো বা ছনের তৈরী ঘর গুলো। এক সময় গ্রামে সাধারণত কুঁড়ের ঘরের তুলনায় টিনের কিংবা ইটের ঘর তেমন খুঁজেয় পাওয়া যাচ্ছিলো না। খুবই কম ছিলো, কিন্তু আজ তা কালের আবর্তনে সম্পূর্ণ বিপরীত। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কুঁড়ে ঘর এখন চোখে পড়ে খুবই কম। শ্রমজীবী মানুষেরা ধান কাটার পর অবশিষ্ট অংশ দিয়ে নিপুন হস্তে তৈরি করতো এই কুঁড়ে ঘর। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্য।

মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপ কথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে।

সরেজমিনে গাইবান্ধা জেলার থানা উপজেলার সাঘাটার ইউনিয়নে চর অঞ্চলে গুলোতে বাড়িতে এখনও কুঁড়ে ঘর দেখা গেছে। আধুনিক সভ্যতায় মানুষ এখন পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত। কুঁড়ে ঘর হিসেবে ব্যবহার করছে টিনকে। চরে এখন আগের মতো খড়- কুটো ছনের কুঁড়ে ঘর দেখা যাচ্ছে না। ফলে গ্রাম থেকে ছনের ছাউনি কুঁড়ে ঘর ব্যবহার ক্রমশ বিলুপ্তির পথে।

কথা বলে জানা যায়, গ্রামে খড়-কুটো ছনের কুঁড়ে ঘর তৈরির জন্য কিছু কারিগর ছিলেন। তাদের দৈনিক মজুরি ছিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। প্রথমে পুরাতন খড়-কুটো ছনের তুলে নেওয়া হতো। ঘরের নতুন নতুন বাশঁ লাগানো হতো পুরাতন বাশঁ তুলে। তারপর নতুন খড়-কুটো ছন উপরে তোলা হতো। এরপর আগার পাতলা অংশ কেটে সাজিয়ে কয়েকটি ধাপে ছাউনি বাঁধা হতো। তৈরি করা সে খড়-কুটো ছনের কুঁড়ে ঘরে বসবাস করা খুবই আরামদায়ক। ছনের ঘর গ্রীষ্মকালে ঠাণ্ডা ও শীতকালে গরম থাকে। ছনের ঘর তৈরি করার ঘরামি বা মিস্ত্রীর খুব কদর ছিলো বলে জানায়। 

গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার, সাঘাটা ইউনিয়নের লিটন মিয়া বলেন, এক সময় সর্বস্তরের থাকার জায়গার উৎসস্থল ছিলো খড়-কুটো কুঁড়ে ঘর। সময়ের পরিবর্তনে দালান কোঠার আড়ালে এখন নিষ্প্রভ খড়-কুটো কুঁড়ে ঘর। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। খড় কুঠার ঘরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তা না হলে একদিন কালের বিবর্তনে খড়-কুটো, ছনের ঘরগুলো জাদুঘরে ঠাঁই নেবে। ঐতিহ্যের অংশকে আকঁড়ে ধরে রাখতে সকলের এগিয়ে আসতে হবে। তবে আবার কেউবা পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে চাইলে খড়ের ও ছনের ছাউনির কুঁড়ে ঘর টিকিয়ে রাখতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 20122 Breaking News
Design & Developed By BD IT HOST