
মোঃ মিজানুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি’র ৫৯) এর মহাপরিচালক লে: কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশনা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী সীমান্তে চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারী,দুষ্কৃতকারী কর্তৃক অবৈধ সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স হিসেবে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) সর্বদা দায়িত্ব পালন করে আসছে।
বিজিবি সদস্যদের এহেন তৎপরতার কারনে সীমান্তবর্তী চোরাকারবারী এবং স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা পূর্বের ন্যায় অবাধে চোরাচালানী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পারায় বর্তমানে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজিবি’র বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার, সংবাদ সম্মেলন, মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। যাতে করে বিজিবি সদস্যদের মনোবল দূর্বল করার মাধ্যমে তারা তাদের চোরাচালানী কর্মকান্ড পূর্বের ন্যায় চালিয়ে সক্ষম হয়। তাদের এহেন কার্যকলাপ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং বিজিবি’র ন্যায় ঐতিহ্যবাহী সু-শৃঙ্খল এই বাহিনীর সম্মান হানির সুস্পষ্ট অপচেষ্টা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) সীমান্তে কঠোর অবস্থানে থাকায় বিগত ০৩ বছরে ২৯১ জন আসামীসহ সর্বমোট ১০৭,২৫,৬৩,৯৯৬.০০ (একশত সাত কোটি পঁচিশ লক্ষ তেষট্টি হাজার নয়শত ছিয়ানব্বই) টাকার বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে, যার মধ্যে ৩,৩২৪ টি অবৈধ ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন রয়েছে।
সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে সার্বিকভাবে চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের জনতা । নাম না বলা শর্তে ঘরিয়া এলাকার একজন বলেন এ ব্যাপারে সকল প্রকার অপপ্রচার রোধে বিজিবি’র পাশে থাকতে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা করা প্রয়োজন ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটেলিয়ান ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকাকে মাদক ও চোরাচালানমুক্ত করার জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। দেশ ও যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য সকল প্রকার মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় আমাদের অপারেশন পরিচালিত হচ্ছে। যার সফলতার প্রমাণ নিয়মিতভাবে সীমান্ত এলাকায় মাদক জব্দ। শুধু মাদক না চোরাচালান এর গডফাদারদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply